ময়মনসিংহে কবিরাজের কাছে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

বিয়ের তিন বছর পার হলেও সন্তান না হওয়ায় অত্যন্ত দুঃচিন্তায় পড়েন দম্পতি। একপর্যায়ে সন্তান পাওয়ার আশায় এক কবিরাজের শরণাপন্ন হন ওই গৃহবধূ। সন্তান দেওয়ার নামে ঝাড়ফুঁকের একপর্যায়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে কবিরাজ।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শনিবার (১৫ মার্চ) কবিরাজে আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ। আব্দুল খালেক একই উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের বড় বাজাইল গ্রামের নবীগঞ্জ বাজার এলাকার মৃত নসু খার ছেলে।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী নারী জানান, এলাকায় কবিরাজ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে আব্দুল খালেকের। তার ঝাড়ফুঁক ও বিভিন্ন ঔষধ খেয়ে সব ধরনের রোগ ভালো হয় বলে বিশ্বাস করেন এলাকাবাসী। কারও সন্তান না হলে কবিরাজের শরণাপন্ন হলে সন্তান হয়।

এমন বিশ্বাসে সন্তানের আশায় নিয়মিত আব্দুল খালেকের বাড়িতে যাতায়াত করতেন ভুক্তভোগী নারী। নিশ্চিত সন্তান হবে এমন আশ্বাসে কবিরাজকে ১৫ হাজার টাকাও দেন তিনি।

৮ মার্চ ওই নারী আবারও কবিরাজের বাড়িতে যান। গিয়ে জানতে চান, সন্তান হতে আরও কতদিন সময় লাগতে পারে। এ সময় ওই নারীকে বুঝিয়ে একটি কক্ষে নেন কবিরাজ। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মুক্তাগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই নারী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে থানায় মৌখিক অভিযোগ দেন। অভিযোগ পাওয়ার পরদিন রাতেই ভণ্ড কবিরাজ আব্দুল খালেককে আটক করা হয়।’

এ ঘঠনায় মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, ওই নারীকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার আব্দুল খালেককে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ময়মনসিংহ আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।