শিরোনাম
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:৩৯, ৭ মে ২০২৫
ইউএনওর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নামাজ শেষে স্থানীয় মুসল্লিরা মসজিদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন। ছবি: সংগৃহীত
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের একজন সোহেল মাহমুদ খান বলেন, “ইউএনও বলেছেন, মসজিদে এতগুলো এসি লাগানো ঠিক হয়নি। এমনকি প্রশ্ন করেছেন, কে এসি বসাতে বলেছে।”
স্থানীয় কামরুল ইসলাম বলেন, “বহু বছর ধরে এই মসজিদে নামাজ পড়ি। এমন সিদ্ধান্ত আগে কখনও কেউ নেয়নি। আমরা ইউএনওর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই।”
এ বিষয়ে কামারখন্দ উপজেলা জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিকী বলেন, “মসজিদের ফান্ডে বর্তমানে কোনো টাকা নেই। বিদ্যুৎ বিল বাবদ প্রায় ৬৯ হাজার টাকা বকেয়া। এ অবস্থায় মসজিদ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও অনামিকা নজরুলের নির্দেশেই সাময়িকভাবে এসিগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। আমি নিজেও জানি না, কবে এগুলো চালু হবে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির সভাপতি অনামিকা নজরুল বলেন, “গত তিন মাসে মসজিদের বিদ্যুৎ বিল প্রায় ৭০ হাজার টাকা এসেছে। এই কারণেই আপাতত এসি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “৭০ হাজার টাকা বিল বাকির মধ্যে যদি এসি চালানোর অনুমতি দিই তাহলে বিল বাড়তেই থাকবে। মসজিদের অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। মসজিদ পরিচালিত হয় অফিসাররা যে টাকা দেয়, সেই টাকায়। অফিসাররা মসজিদে প্রতি মাসে একটি পরিমাণ চাঁদা দেয়, সেই টাকা দিয়ে মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন ও খাদেমের বেতন হয়। তা ছাড়া, বিদ্যুৎ বিলের খরচও এই টাকা থেকে বহন করা হয়। এখন ৭০ হাজার টাকা বিল আমি কোথা থেকে দেবো? আমাকে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে বিল পরিশোধের জন্য।”
সব কটি এসি এখন বন্ধ থাকবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যাঁরা বিক্ষোভ করেছেন কাল (বুধবার) সবাইকে আসতে বলেছি। এলাকার গণ্যমান্য মুসলমানদেরও আসতে বলেছি দেখা করার জন্য। তাঁদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে দেখি কী করা যায়।”
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ