শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৯, ৫ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
গণঅভ্যুত্থান দিবসে আজ বিকাল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে অভ্যুত্থানের শরিক রাজনৈতিক দল ও পক্ষগুলো প্রধান উপদেষ্টার পাশে থাকবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ উপলক্ষে সোমবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ পুরো এলাকায় সাজসাজ রব ছিল। ঢাকার বাইরে থেকে ছাত্র-জনতার যাতায়াতে আটটি ট্রেন ভাড়া করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। অবশ্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) জুলাই অভ্যুত্থানের সব শক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের কে কে আসবেন, সেটি দল ঠিক করবে। তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠান আয়োজনে সরকার সব বড় দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং তাদের মতামত নিয়েছে। এর আগে রবিবার গণঅধিকার পরিষদ জানিয়েছে, খসড়া নিয়ে আলোচনা না করায় ঘোষণাপত্র প্রকাশ অনুষ্ঠানে তারা যাবে না।
মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে অংশ নেবে বিএনপির প্রতিনিধি দল : জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। সোমবার রাতে দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন– স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ জন সমন্বয়ককে দাওয়াত না দেওয়ায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
সোমবার দিবাগত রাত ২টায় নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই প্রক্লেমেশন’ বা ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘোষণার উদ্যোগ নেয় তৎকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে শিগগির সরকার তা ঘোষণা করবে, সরকারের এমন আশ্বাসে সেদিন জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দেননি শিক্ষার্থীরা।
এরপর অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া প্রণয়ন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপে উঠে আসা বিষয়গুলো নিয়ে খসড়াটি প্রস্তুত করা হয়। গত ২৮ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সনদের খসড়া পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
পরে ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় গণঅভ্যুত্থানের সব পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ