ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
১১ আষাঢ় ১৪৩২, ২৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬
শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:৪৮, ২৫ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৪৯, ২৫ জুন ২০২৫
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অ্যাডমিন ও গোয়েন্দা-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, হাবিবুল আউয়াল তার নিজ বাসায় ছিলেন না। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তার মোবাইল একবার চালু হলে প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করা যায়। যে বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটি তার নিজের নয় এবং সেটি কার—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত রোববার (২২ জুন) রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলার পরই সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর থেকে হাবিবুল আউয়াল নিখোঁজ ছিলেন এবং সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে যান।
২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করলেও তিনি নির্বাচন আয়োজন করেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তাদের অনুগত প্রার্থীদের ছাড়া আর কেউ অংশ নেননি। এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে অসংগতি, গেজেট জারি ও সংবিধান-লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তিন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ, কে এম নূরুল হুদা ও হাবিবুল আউয়াল), সাবেক আইজিপি, র্যাব ও এনএসআই প্রধানসহ ২৪ জন।
একই মামলায় সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে তার উত্তরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তাকে হেনস্তা করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পরে সোমবার আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ডিবি জানায়, মামলার বাকি আসামিদেরও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে কারচুপি ও একতরফাভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার অভিযোগ এনে বিএনপি এই মামলা করেছে। তারা বলছে, এসব নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক শাসনের ভিত্তি ধ্বংস করেছে।
ডিবি কর্মকর্তারা জানান, মামলার তদন্তে অপর আসামিদের ভূমিকা ও দায়িত্ব যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আজ বা আগামীকাল আদালতে হাজির করা হতে পারে, তা নির্ভর করছে তদন্ত কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের ওপর।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ
