শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২:১০, ৫ জুন ২০২৫
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বছর বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২০ লাখ হজযাত্রী হজ পালনে অংশ নিচ্ছেন। তাদের সবাইকে ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করতে হয়, যা হজের অন্যতম ফরজ কাজ।
ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, ৯ জিলহজ তার দুপুরে সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময় আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা ফরজ। কেউ এই সময় সেখানে উপস্থিত না থাকলে তার হজ পূর্ণ হয় না। এ কারণে ময়দানের প্রতিটি প্রান্তজুড়ে হাজিদের ছিল কান্নাজড়ানো দোয়া, আত্মসমর্পণ ও ক্ষমা প্রার্থনার দৃশ্য।
বাংলাদেশি হাজিদের সঙ্গে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং ধর্মসচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক। তাদের উপস্থিতিতে হাজিদের সহায়তা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
সূর্যাস্তের পর হাজিরা আরাফাত ত্যাগ করে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে গিয়ে এক আজান ও দুই ইকামতের মাধ্যমে মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে আদায় করেন এবং খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করেন, যা হজের ওয়াজিব অংশ।
এদিকে, সৌদি আবহাওয়া অফিস থেকে ধুলিঝড়ের সম্ভাবনার কথা বলা হলেও আরাফাতে এমন কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি দেখা যায়নি। যদিও এদিনের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবুও বাংলাদেশি হাজিরা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন করে যাচ্ছেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ