শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:৫২, ৬ জুন ২০২৫
তুরস্কে এই উৎসবটি পরিচিত ‘কুরবান বাইরাম’ নামে। এটি কেবল ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়—বরং পারিবারিক মিলনমেলা, সামাজিক সংহতি ও মানবিকতার এক মহোৎসবে রূপ নেয়।
তুরস্কে ঈদ উপলক্ষে মুসলমানরা একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানান বেশ কিছু বিশেষ বাক্যে। সবচেয়ে প্রচলিত কিছু শুভেচ্ছা হলো:
‘বায়রামিনিজ মুবারেক ওলসুন’ – আপনার উৎসবটি মুবারক হোক।
‘বায়রামিনিজ কুতলু ওলসুন’ – আপনার উৎসবটি আনন্দময় হোক।
‘ইই বায়রামলার’ – শুভ উৎসব।
যদিও ‘ঈদ মোবারক’ বাক্যটি বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত, তুরস্কে এটি খুব একটা প্রচলিত নয়। তুর্কিরা নিজেদের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে শুভেচ্ছা জানাতে পছন্দ করেন।
ঈদের সকাল শুরু হয় মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে। এরপর একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি হলো—পরিবারের মৃত স্বজনদের কবর জিয়ারত। এ রীতির মাধ্যমে প্রিয়জনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং পারিবারিক মূল্যবোধকে সম্মান জানানোর সংস্কৃতি স্পষ্ট হয়।
ঈদের মূল আচার ‘কুরবানি’ তুরস্কেও অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করা হয়। পরিবারগুলো গরু বা ভেড়া কুরবানি দিয়ে মাংস তিন ভাগে ভাগ করে—এক ভাগ নিজেদের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-প্রতিবেশীদের জন্য, আরেক ভাগ গরিব-দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দ রাখেন। এই বণ্টনপ্রথা কুরবান বাইরামের সহানুভূতি, দায়বদ্ধতা ও সমাজকল্যাণের দিকটিকে তুলে ধরে।
ঈদের দিন ঘরে ঘরে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের আগমন ঘটে, যেখানে একত্রে ভোজন চলে। তুরস্কের ঐতিহ্যবাহী খাবার ও মিষ্টান্নের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ‘বাকলাভা’—পাতলা কেক ও বাদাম দিয়ে তৈরি সুস্বাদু মিষ্টি, যা ঈদের টেবিলে অনিবার্যভাবে থাকে।
শিশুদের জন্য এই উৎসব আরও রঙিন হয়ে ওঠে নতুন জামাকাপড়, উপহার এবং বিভিন্ন মজাদার খাবারের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ