শিরোনাম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:০০, ৯ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১২:৩৮, ৯ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
ভিডিওতে বক্তব্য দেন মাইক্রোসফটের এন্টারপ্রাইজ ও অপারেটিং সিস্টেম সুরক্ষা বিভাগের করপোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড ওয়েস্টন। তিনি বলেন, যেমন আজকের প্রজন্মের কাছে ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম বা ডস অপরিচিত এক জিনিস, তেমনি ২০৩০ সালের মধ্যে মাউস চালানো বা কিবোর্ডে টাইপ করাও নতুন প্রজন্মের কাছে অচেনা হয়ে যাবে। ভবিষ্যতের উইন্ডোজ হবে বহুমাত্রিক ও আরো স্বতঃসিদ্ধ, যেখানে ব্যবহারকারীরা যন্ত্রের সঙ্গে কথা বলেই অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন করবেন। কণ্ঠস্বর হবে মূল মাধ্যম, আর তার সঙ্গে যুক্ত হবে হাতের ইশারা ও চোখের দৃষ্টির মতো স্বাভাবিক মানবিক সংকেত। ব্যবহারকারী ও কম্পিউটারের মধ্যে হবে প্রাকৃতিক ও সরাসরি কথোপকথন, যেখানে প্রযুক্তি মানুষের প্রয়োজন বুঝে তাৎক্ষণিক সাড়া দেবে। ওয়েস্টনের মতে, যদিও এই দৃশ্যপট আজ অনেকের কাছেই কল্পবিজ্ঞানের মতো মনে হতে পারে, মাইক্রোসফটের চলমান বিনিয়োগ ও গবেষণা একে বাস্তবায়নের পথে দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে।
গত কয়েক বছরে মাইক্রোসফট তাদের বিভিন্ন পণ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ফিচার ‘কোপাইলট’ যুক্ত করেছে, যা ইতোমধ্যেই উইন্ডোজ ও অফিস সফটওয়্যারে ব্যবহারকারীদের নানান কাজ সহজ করে দিচ্ছে। এই কোপাইলট এখন কেবল টাইপ করা কমান্ডেই নয়, কণ্ঠস্বরেও নির্দেশ গ্রহণ করছে। সম্প্রতি চালু হওয়া ‘হে কোপাইলট’ ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কেবল কথার মাধ্যমেই উইন্ডোজের বিভিন্ন সেটিংস পরিবর্তন করতে, ফাইল খুঁজে বের করতে কিংবা সরাসরি ইন্টারনেট থেকে তথ্য আহরণ করতে পারছেন। এটি ব্যবহারকারীর সঙ্গে সিস্টেমের যোগাযোগকে আরো স্বাভাবিক ও গতিশীল করে তুলছে।
ওয়েস্টন জানান, এআই প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতি কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ব্যবহারের ধরনে একটি মৌলিক রূপান্তর আনছে। অনেক রুটিন ও পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ— যেমন হিসাব তৈরি, ব্যয়ের রিপোর্ট প্রস্তুত করা বা স্প্রেডশিট বানানো— এখন আর ব্যবহারকারীর হাতে সময়সাপেক্ষভাবে করতে হবে না। এআই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসব কাজ সম্পন্ন করে দেবে, ফলে মানুষ সময় বাঁচিয়ে সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ও অর্থবহ কাজে মনোনিবেশ করতে পারবে। প্রযুক্তির এই অগ্রযাত্রা শুধু কর্মদক্ষতাই বাড়াবে না, বরং মানুষের সঙ্গে মেশিনের যোগাযোগকে করে তুলবে আরও প্রাকৃতিক, মানবিক এবং ভবিষ্যতমুখী।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ