শিরোনাম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০:১১, ৪ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৪:২২, ৪ জুন ২০২৫
প্রতীকী ছবি
এই ব্যাকটেরিয়াগুলো অক্সিজেন ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য কোষের বাইরের পৃষ্ঠে ইলেকট্রন স্থানান্তর করে। এই ইলেকট্রন স্থানান্তরের জন্য ব্যাকটেরিয়াটি ‘ন্যাপথোকুইনোন’ নামের একটি অণু ব্যবহার করে; যা ইলেকট্রন পরিবাহকের মতো কাজ করে। ফলে ব্যাকটেরিয়াটি তার পরিবেশ থেকে খাবার সংগ্রহ করে শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়।
এই গবেষণা সম্প্রতি Cell নামের আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্যারোলিন আজো-ফ্র্যাঙ্কলিন বলেন, আমাদের গবেষণা শুধু দীর্ঘদিনের একটি বৈজ্ঞানিক রহস্যের সমাধানই করেনি, বরং প্রাকৃতিক পরিবেশে জীবনের টিকে থাকার নতুন কৌশলও উদঘাটন করেছে।
গবেষণা-দলে থাকা বিজ্ঞানী বিকি বাপি কুন্ডু জানান, শ্বাস-প্রশ্বাসের এই বিকল্প প্রক্রিয়াটি একই সঙ্গে সাধারণ এবং অত্যন্ত উদ্ভাবনী। ন্যাপথোকুইনোন ব্যবহার করে ব্যাকটেরিয়াটি কোষ থেকে ইলেকট্রন বাইরে স্থানান্তর করতে পারে, যা খাদ্য ভেঙে শক্তি উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য।
বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী এই ব্যাকটেরিয়াগুলো জৈবপ্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে বর্জ্য পরিশোধন, জৈব উৎপাদন, দূষণ পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসা কিংবা মহাকাশ অনুসন্ধানে ব্যবহৃত সরঞ্জাম তৈরিতে এদের ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এরা পরিবেশবান্ধবভাবে ইলেকট্রন ভারসাম্য রক্ষা করতে সক্ষম, যা ভবিষ্যতের টেকসই প্রযুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ