শিরোনাম
সিলেট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৩৩, ১২ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
রবিবার (১০ আগস্ট) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ বিএনপির আদর্শ ও নীতি পরিপন্থি অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সকল পদ স্থগিত করা হয়েছে। তার স্থলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হাজী আব্দুল মান্নানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
পদ স্থগিতের পর সাহাব উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর থেকেই সিলেটের অন্যান্য পাথর কোয়ারির মতো সাদাপাথরেও শুরু হয় ব্যাপক লুটপাট। লুটপাটে বিএনপি নেতাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।
পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর হিসেবে পরিচিত ধলাই নদের উৎসমুখে বিপুল পরিমাণ পাথর জমা হয়েছিল। লাগামহীন লুটপাটের কারণে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনককেন্দ্র।
দিনের বেলা প্রকাশ্যেই সেই সব পাথর নৌকা করে নিয়ে লুট করা শুরু হয়। এখনো প্রতিদিন শত শত নৌকা দিয়ে লুটের পাথর পরিবহন করা হচ্ছে। নদী তীরের বালি খুঁড়েও লুটপাট চলছে।
এদিকে সরকার পরিবর্তনের পর কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে সরকারি দেড়শ একর ভূমি দখলদার হিসেবে অভিযুক্ত হন সাহাব উদ্দিন। ওই সময় ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর ও পর্যটন কেন্দ্রের জায়গার উপর নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়। লুট করা হয় স্থলবন্দরের নির্মাণ সামগ্রী। পরে ভোলাগঞ্জে রেলওয়ের সংরক্ষিত এলাকা দখলের পেছনে তার মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
নানা অভিযোগে গত মার্চে জেলা বিএনপি তাকে শোকজ করে। পরে তার বিরুদ্ধে দলীয় তদন্ত করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে দলীয় সকল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ