শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৮, ১০ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৩:০০, ১০ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
রবিবার (১০ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, শনিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চপর্যায়ের সভায় এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী এবং ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ বলেন, ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা, যা সাধারণত বডিক্যাম নামে পরিচিত, সংগ্রহের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই ডিভাইসগুলো হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করবে।
পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে আগেভাগেই ক্যামেরাগুলো আনতে চায় সরকার। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ বলেন, ‘অক্টোবরের মধ্যে বডিক্যামগুলো সংগ্রহ করতে চাই। যেন পুলিশ বাহিনী এসকল বডিক্যামের এআই সক্ষমতাসহ মূল বৈশিষ্ট্যগুলির ওপর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পেতে পারেন।’
তিনি আরো জানান, জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্যামেরা সরবরাহ নিয়ে আলোচনা চলছে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এ সময় কর্মকর্তাদের বডিক্যামগুলো দ্রুত ক্রয় এবং হাজার হাজার পুলিশ কর্মীর জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সমস্ত ভোটকেন্দ্রে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। খরচ যাই হোক না কেন! আমাদের লক্ষ্য হলো ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করা।’
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি ইলেকশন অ্যাপ চালুর পরিকল্পনাও উপস্থাপন করেন।
এই অ্যাপে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের প্রার্থীদের তথ্য, ভোটকেন্দ্রের আপডেট এবং অভিযোগ জানানোর জন্য ইন্টারঅ্যাকটিভ ফিচার থাকবে। প্রধান উপদেষ্টা অ্যাপটি দ্রুত চালু এবং দেশের ১০ কোটির বেশি ভোটারের জন্য ব্যবহারবান্ধব করার নির্দেশ দেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ