শিরোনাম
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:৪৮, ২৩ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৬:৪৯, ২৩ জুন ২০২৫
ব্যক্তিগত ঋণের মতো বিবাহ ঋণও জামানত ছাড়াই পাওয়া যায়। তবে ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয় আবেদনকারীর মাসিক আয়, চাকরির ধরন, চাকরির অভিজ্ঞতা, বয়স ও ব্যাংক লেনদেনের ইতিহাস। সাধারণত স্থায়ী চাকরিজীবীরা এই ঋণ পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকেন। মাসিক কিস্তিতে ১ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করা যায়। তবে কিস্তির সংখ্যা বাড়ালে সুদের হারও বাড়তে পারে।
চাকরিজীবীদের পাশাপাশি চিকিৎসক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, জমির মালিকদের মতো পেশাজীবীরাও বিবাহ ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে ব্যাংকের পক্ষ থেকে এমন গ্রাহকদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, যাঁদের স্থায়ী চাকরি ও ভালো আয় রয়েছে।
বিবাহ ঋণ সুবিধা দিচ্ছে এমন ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে—উত্তরা ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকসহ কয়েকটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এর পাশাপাশি অন্যান্য অনেক ব্যাংক থেকেও ব্যক্তিগত ঋণের আওতায় বিয়ের জন্য অর্থ নেওয়া যায়।
ব্যক্তিগত ঋণের আওতায় বিয়ের জন্য ১ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। চাকরিজীবী, জমির মালিক ও ব্যবসায়ীরা এ ঋণের জন্য যোগ্য। চাকরিজীবীদের ন্যূনতম মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য পেশার ক্ষেত্রে ৪০ হাজার টাকা হতে হবে।
উত্তরা ব্যাংক:
এখানে বিয়ের জন্য ২৫ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ১ থেকে ৩ বছর।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি):
২ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি):
সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। চাকরিজীবী, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী ও জমির মালিকরা এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন।
সীমান্ত ব্যাংক:
শুধুমাত্র বিজিবি সদস্যদের জন্য বিবাহ ঋণ সুবিধা চালু আছে। সাধারণ সদস্যদের জন্য ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা। নিজের বা সন্তানের বিয়ের জন্য এই ঋণ নেওয়া যায়। শর্ত অনুযায়ী, আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ন্যূনতম ৬ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
ঋণ পেতে যেসব কাগজপত্র লাগবে
ঋণের জন্য প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, চাকরির প্রমাণপত্র (আইডি কার্ড বা নিয়োগপত্র), সর্বশেষ ৩ থেকে ৬ মাসের বেতন স্লিপ, ব্যাংক হিসাবের বিবরণী, টিআইএন সনদ এবং কিছু ক্ষেত্রে অনাপত্তিপত্র (এনওসি)। নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ঋণ নেওয়ার কারণে বিয়ের কার্ড, ভ্রমণ পরিকল্পনার কপি বা চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজও চাইতে পারে ব্যাংক। পাশাপাশি বর-কনের সাম্প্রতিক ছবি দিতে হতে পারে।
আর্থিক চাপ কমাতে বিবাহ ঋণ
বর্তমানে বিয়ের খরচ ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই সময়মতো বিয়ে করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে বিবাহ ঋণ হতে পারে একটি সম্ভাব্য সমাধান। তবে ঋণ নেওয়ার আগে সুদের হার, কিস্তির পরিমাণ ও শর্তাবলি ভালোভাবে যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ