শিরোনাম
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:১১, ১২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৩:১২, ১২ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
প্লেন আকৃতির ব্যাগ, কিন্তু দাম আকাশচুম্বী
এই ব্যাগটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০২১ সালের শরৎ–শীতকালীন সংগ্রহে, যার ডিজাইনার ছিলেন প্রয়াত ফ্যাশন আইকন ভার্জিল আবলোহ। ব্যাগটির আকৃতি ছোট আকারের একটি বিমানের মতো—তাতে রয়েছে মিনিয়েচার ইঞ্জিন, ককপিট এবং ডানা। পুরো ব্যাগটি তৈরি করা হয়েছে লুই ভুইতোঁর নিজস্ব মনোগ্রাম প্রিন্টেড ক্যানভাস দিয়ে।
প্রাথমিকভাবে ব্যাগটির দাম নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৩৯,০০০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় দাঁড়ায় প্রায় ৪৮ লাখ টাকা। সম্প্রতি এটি অনলাইনে নিলামে তোলা হলে আবারও নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে।
সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়
ব্যাগটির দাম প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শুরু হয় সমালোচনার বন্যা। কেউ মজা করে লিখেছেন, “এই দামে তো পুরোনো একটি সেসনা (Cessna) এক ইঞ্জিনের বিমানই কিনে ফেলা যায়!” আবার কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন, “এই টাকায় বরং বিটকয়েনে বিনিয়োগ করলেই ভালো।” এমনকি কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, “এই ব্যাগ দিয়ে কি আকাশে ওড়া যাবে?”
ভিন্নধর্মী নকশা নিয়ে বিতর্ক
যদিও লুই ভুইতোঁ বরাবরই পরিচিত পরিমিত ও কৌশলী নকশার জন্য, এই ব্যাগটির প্লেন-আকৃতি অনেকেই উদ্ভট ও অপ্রত্যাশিত বলে মনে করছেন। কিছু লুই ভুইতোঁ অনুরাগী এই ডিজাইনকে ব্র্যান্ডের মূল নান্দনিকতা থেকে বিচ্যুতি হিসেবে দেখছেন।
ফ্যাশন বিশ্লেষকদের মতে, এটি ডিজাইনার আবলোহর সৃজনশীল চিন্তার একটি সাহসী উপস্থাপন হলেও, তা সবার কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
প্রচারণার কৌশল নাকি শিল্প?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন ব্যতিক্রম নকশা অনেক সময় মূলত ব্র্যান্ড প্রচারণার অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কারণ, এমন অনন্য ডিজাইন সহজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চিত ও ভাইরাল হয়ে ওঠে। বিক্রি না হলেও এতে ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা ও সচেতনতা তৈরি হয়, যা বিজ্ঞাপন ব্যয় ছাড়াই বিপুল প্রভাব ফেলে।
প্রশ্ন রয়ে যায়: আপনি কী বেছে নেবেন?
লুই ভুইতোঁ বরাবরই উচ্চবিত্ত ক্রেতা ও সংগ্রাহকদের লক্ষ্য করে বিলাসবহুল ও সীমিত সংস্করণ পণ্য বাজারে আনে। তাই এই ব্যাগটিও একপ্রকার শিল্পকর্ম ও ফ্যাশন অনুষঙ্গের মিশ্রণ বলেই বিবেচিত হচ্ছে।
তবে প্রশ্ন থেকেই যায়— আপনার যদি হাতে ৪৮ লাখ টাকা থাকে, আপনি কী কিনবেন? একটি ব্যাগ নাকি সত্যিকারের একটি প্লেন?
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ